প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সংসদে বলেছেন, সরকার কোভিড-১৯- মোকাবিলার পাশাপাশি জনগণের সাধারণ জীবন-জীবিকা পুনরুদ্ধার করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।
'আমরা বাজেট উত্থাপন করতে যাচ্ছি। অনেক দেশ এই কঠিন সময়ে এটি করতে পারে না। কিন্তু আমি বলেছি না। আমরা একদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করব। অন্যদিকে, আমি আমার দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যাতে চলতে পারে এবং তাদের দুর্ভোগ যাতে না হয় সেজন্য যা যা করা দরকার তা অব্যাহত রাখব,' বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্য (ঢাকা -৫) হাবিবুর রহমান মোল্লা এবং আট প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন গণপরিষদ সদস্যসহ একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তির মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এই কথা বলেন।
আট সাবেক সংসদ সদস্য হলেন- ওয়ালিউর রহমান রেজা (গাইবান্ধা -৫), খন্দকার আসাদুজ্জামান (টাঙ্গাইল -২), মমতাজ বেগম, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন (ঢাকা -৯), কামরুন নাহার পুতুল (সংরক্ষিত আসন), সাবেক প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবির তালুকদার (জামালপুর -৪), এম এ মতিন (চাঁদপুর -৫) এবং সৈয়দ রহমাতুর রব ইরতিজা আহসান (বরগুনা -২)। এবং প্রাক্তন গণপরিষদ সদস্য হলেন জহিরুল ইসলাম।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, তিনি মৃত্যুকে ভয় করেন না এবং তিনি দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।
'আমি এখানে বেঁচে থাকার জন্য আসিনি বরং মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে এসেছি । সুতরাং, ভয় পাওয়ার কিছু নেই,' বিরোধী দলের চিফ হুইপ মো. মশিউর রহমান রাঙ্গার এক পরামর্শে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনায় যোগ দিয়ে রাঙ্গা পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে তার সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে নিজের বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্লামেন্টের অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন।
পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও আ স ম ফিরোজ, জাসদ এমপি হাসানুল হক ইনু আলোচনায় অংশ নেন।
বিদেহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় এবং মুনাজাত করা হয়।
পরে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।