পুত্রের অনৈতিক বিয়ে মেনে নিতে না পেরে পিতা নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। আজ শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মধ্য পাটুলিপাড়া গ্রামে। আত্মহত্যাকারি ব্যক্তির নাম মকবুল হোসেন,বয়স ৫০ বছর।
গ্রামবাসী জানান,মকবুল হোসেনের ছেলে ফায়ার সার্ভিস কর্মী মিজানুর রহমান প্রথম স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন কে রেখে প্রায় পাঁচ মাস আগে নিজ গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে জেসমিনের সাথে প্রেম করে দু'লক্ষ টাকার কাবিন দিয়ে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে আবার সাড়ে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু তারা উভয়েই গোপনে প্রেমালাপ অব্যাহত রাখেন।
গত বৃহস্পতিবার মিজানুর রহমান আবার জেসমিনকে আট লাখ টাকা কাবিন দিয়ে পুনরায় বিয়ে করেন। এই সময়ের মধ্যে জেসমিনের অন্য কোথাও বিয়ে না হওয়ায় এটি শরিয়ত সম্মত নয় বলে পিতা মকবুল হোসেন পুত্রবধু হিসাবে তাকে মেনে নেননি। তিনি জেসমিনকে বাড়ি থেকেও চলে যাবার নির্দেশ দেন। পুত্র তার আদেশ অমান্য করায় আজ রোববার ভোরে বাড়ির একটি আম গাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশি লোকজন টের পেয়ে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা রুজু হয়েছে এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে আত্মহত্যাকারির ভাগ্নে মজনুর রহমান ডিডিএন নিউজ কে জানান, জেসমিন ও তার পরিবারের অপতৎপরতা এবং লোভের কারণে আমার মামা অত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
(সংগ্রহীত)